Tuesday, October 14, 2014

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বৈশিষ্ট্য কি কি? বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমস্যাবলী কি কি? বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পশ্চাৎপদতার কারণসমূহ কি কি?

প্রশ্নঃ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বৈশিষ্ট্য কি কি? বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমস্যাবলী কি কি? বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পশ্চাৎপদতার কারণসমূহ কি কি?


ভূমিকাঃ 

বাংলাদেশ পৃথিবী যেসকল সল্পোন্ন দেশসমূহ আছে তাদের ভিতর অন্যতম।দীর্ঘ ২৫০ বছর বাংলাদেশ ব্রিটিশ এবং পাকিস্তান সরকারের অধীনে শাসিত হয়ে একেবারে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। কিন্তু এই দেশ প্রায় ৪০ বছর ধরে স্বাধীনতা লাভ করার পর অর্থনৈতিক অগ্রগতির আশার কোন আলো দেখতে পায় নি। এর পিছনে বহু কারণ রয়েছে।জনসংখ্যার আধিক্য,বেকারত্বের হার বৃদ্বিপুজিদসদীওেদপতিদের দাপুটে ভাব,রাজনৈতিক অস্থিরতা,দারিদ্র্যতা,অশিক্ষা,কৃষি ও শিল্পের অনগ্রসরতা ইত্যাদি বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক জীবনকে একেবারে বিপর্যস্ত্য করে তুলছে।বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বৈশিষ্ট্যসমূহ নিম্নে উল্লেখ করা হলঃ

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মূল বৈশিষ্ট্যবালী

কৃষির উপর নির্ভরশীলতা এবং অনুন্নত কৃষিব্যবস্থাঃ এটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য যে এখানকার অর্থনীতি কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি।এ দেশের শতকরা ৮০ ভাগ লোক প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে কৃষিকাজের সাথে সম্পৃক্ত।দেশজ মোট উৎপাদনের সাথে কৃষির অবদান থাকে প্রায় ১/৪।২০০৯-২০১০ এর অর্থনৈতিক এক সমীক্ষায় দেখা যায় যেদেশজ উৎপাদনের শতকরা ২০.১৬ ভাগ কৃষি খাত থেকে আগত হয়।আমাদের দেশ কৃষিনির্ভর দেশ হলেও এই দেশে কৃষিকাজের জন্য এখনও সনাতন পদ্বতি অনুসরণ করা হয়।এখানে টাক্টর,পাম্পের পরিবর্তে এ দেশের কৃষকেরা এখনও গরু চড়িয়ে,লাংগল টেনেসাধারণ সার ব্যবহার করা কৃষিকাজ করে থাকে।

স্বল্প মাথাপিছু আয়ঃ বাংলাদেশ যেহেতু একটি স্বল্প আয়ের দেশ তাই এখানকার মাথাপিছু আয় অত্যন্ত নিম্ন। ২০০৯-২০১০ এর এক সমীক্ষায় দেখা যায় যে,বাংলাদেশের বার্ষিক মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ৭৫০ মার্কিন ডলার।

বেকার সমস্যাঃ এটি বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম বৈশিষ্ট্য।দিন দিন বাংলাদেশে বেকার যুবক-যুবতীর পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ২ কোটির মত লোক বেকার হিসেবে জীবন-যাপন করছে। দেশের শ্রমশক্তি প্রায় ৩৩% লোক বেকার এবং ২৫% প্রচ্ছন্ন বেকার।এই বেকার সমস্যা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থাকে অনগ্রসরতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

শিল্পের অনগ্রসরতাঃ বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর উল্লেখযোগ্য তেমন কোন শিল্প,কল-কারখানা গড়ে উঠে নি। এর অন্যতম কারণ হল মূলধনের স্বল্পতাএবং দক্ষ শ্রমিকের অভাব। জিডিপি তে বাংলাদেশ শিল্প খাতের অবদান অতি নগণ্য।২০০৯-২০১০ অর্থবছরে জিডিপি তে বাংলাদেশে শিল্পের অবদান ছিল মাত্র ১৭.৮৭%।

মূলধনের স্বল্পতাঃ বাংলাদেশের এটি একটি অন্যতম অর্থনৈতিক বৈশিষ্ট্য মূল ধনের স্বল্পতা। কারন আমাদের দেশের অধিকাংশ লোক দারিদ্র্যতার নীচে বসবাস করে। ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে বাংলাদেশে মূলধনের সঞ্চয় মাত্র ১৯.৭৮%।কিন্তু একটি দেশের উন্নয়নের জন্য ২৫% মূলধনের সঞ্চয় হওয়া উচিৎ।দেশে অর্থনীতিতে মূলধনের অভাব হলে বিনিয়োগে স্বল্পতা পরিলক্ষিত হয়।

খাদ্য ঘাটতিঃ বাংলাদেশ কৃষিভিত্তিক দেশ হওয়া সত্ত্বেও এ দেশের মানুষের চাহিদা মত খাদ্য উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না।তাই বাংলাদেশে বহিঃবিশ্ব থেকে প্রচুর পরিমাণ খাদ্য বছরে আমদানী করতে হয়। এই খাদ্য আমদানীতে অধিকাংশ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হচ্ছে বলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যহত সৃষ্টি হচ্ছে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে বাংলাদেশ প্রায় ২০.৫৭ লক্ষ টন খাদ্য ঘাটতি  হয়।  

কারিগরী জ্ঞানের অভাবঃ  এটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক বৈশিষ্ট্যের ভিতর অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হল দক্ষ কারিগরী জ্ঞানের অভাব।এ দেশের অধিকাংশ শ্রমিক জানে না যেকীভাবে আধুনিক কলা-কৌশলের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্বি করা সম্ভব।তাই আমাদের দেশে পর্যাপ্ত শ্রমিক থাকা সত্ত্বেও কারিগরী জ্ঞানের অভাবে দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন যথার্থভাবে হচ্ছে না।

দারিদ্র্যতার দুষ্টচক্রঃ অধ্যাপক নার্কসের দারিদ্র্যের দুষ্টুচক্র বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ১০০ ভাগ প্রযোজ্য।এই চক্রের মূল কথা হল স্বল্প আয়স্বল্প সঞ্চ্য,স্বল্প বিনিয়োগ এবং স্বল্প মূলধন। এই ধরনের অবস্থা বাংলাদেশের অর্থনীতি বিশেষভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে।

মিশ্র অর্থনৈতিক ব্যবস্থাঃ বাংলাদেশ একটি মিশ্র অর্থনীতির দেশ।এখানে ধণতান্ত্রিক এবং সমাজতান্ত্রিক দুই ধরনের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা পরিলক্ষিত হয়। দেশে বর্তমানে বেসরকারী খাতের জন্য কিছু সুযোগ সৃষ্টি করার জন্য দেশের মুক্ত বাজার অর্থনীতি ক্রমশ বিকাশিত হচ্ছে।

১০রাজনৈতিক অস্থিরতাঃ ১৯৯০ সালের পর থেকে দেশে গণতন্ত্রচর্চা হলেও দুই প্রধান রাজনৈতিক দলের ভিতর বিভিন্ন ইস্যুতে সর্বদা দ্বন্দ্ব-সংঘর্ষ অব্যাহতভাবে চলতে থাকে।প্রায় সময় বিরোধী দল হরতাল,ধর্মঘট,অবরোধের মত কিছু কর্মসূচী প্রদান করে যার ফলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা ব্যাপকভাবে ব্যহত হয়।

১১জনসংখ্যার ক্রমবর্ধমান চাপঃ  বাংলাদেশে দিন দিন জনসংখ্যার পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে।সাম্প্রতিককালের আদমশুমারীর হিসেব অনুযায়ী দেশে বর্তমানে জনসংখ্যার পরিমাণ প্রায় ১৫ কোটি। দেশে এখন প্রতি বর্গ কিলোমিটের প্রায় ১০০০ জন বসবাস করে।জনসংখ্যার বৃদ্বির হার প্রায় ১.৩২%। বর্তমানে জনসংখ্যার দিন দিন যেভাবে বৃদ্বি পাচ্ছে তাতে ২০২০ সাল নাগাদ তার পরিমাণ প্রায় ২০ কোটি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

 

১২অন্নুনত অবকাঠামোঃ  বাংলাদেশ অবকাঠামোগত দিক থেকে উন্নত নয়। এখানকার বিদ্যুৎ ব্যবস্থা,সেচ ব্যবস্থাপরিবহন ব্যবস্থা সকল কিছুই অনুন্নত।তাই এ সকল অবকাঠামোগত কারণে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা উন্নতি লাভ করতে পারছে না।

১৩প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠ্য ব্যবহার না হওয়াঃ  বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণ প্রাকৃতিক সম্পদ(যেমনঃ খনিজ তেল,কয়লা,প্রাকৃতিক গ্যাস ইত্যাদি) থাকা সত্ত্বেও তার যথার্থ ব্যবহার না হওয়ার ফলে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার পশ্চাৎপদতার দিকে ধাবিত হচ্ছে।

১৪নিরক্ষরতাঃ বাংলাদেশের অধিকাংশ লোক নিরক্ষর।একটি দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় সাক্ষরতার হার একটি সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে।কারন শিক্ষিত লোক অর্থনীতি অগ্রযাত্রা এবং উৎপাদন বৃদ্বির কলা-কৌশলে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করে। কিন্তু নিরক্ষর লোকেরা তা পারে না। বাংলাদেশের শতকরা ৬৫% লোক জ্ঞানসম্পন্ন আর বাকীরা নিরক্ষর।দেশের এই বৃহত্তর জনগোষ্ঠি অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় কোন ভূমিকা রাখতে পারছে না।

১৫নিম্ন জীবন-প্রণালীঃ আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ অত্যন্ত  নিম্নমানের জীবন-যাপন করছে।দেশের শতকরা ৪০ ভাগ মানুষ দারিদ্র্যতার নীচে বসবাস করছে।তারা খাদ্য,বস্ত্র,বাসস্থান,পোশাক ইত্যাদি মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

১৬সামাজিক ও ধর্মীয় পরিবেশঃ  বাংলাদেশের অর্থনীতি সামাজিক পশ্চাৎপদতা এবং ধর্মীয় পরিবেশের দ্বারা অনেকটা প্রভাবিত হয়। বর্ণ প্রথা,ধর্মীয় গোড়ামী,কুসংস্কার ইত্যাদি বাংলাদেশের অর্থনীতিতে অন্তরায় হিসেবে কাজ করছে।

১৭বৈদেশিক বাণিজ্য ঘাটতিঃ  বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর যেই পরিমান দ্রব্য বিদেশে রপ্তানী হয় তার চেয়ে বেশি পণ্য আমদানী হয়। ২০১০ সালে বাংলাদেশ থেকে ১৬ বিলিয়ন $ রপ্তানী হয় এবং আমদানী হয় ২১ বিলিয়ন মূল্যের পণ্য। এখানে ব্যাপকভাবে বৈদেশিক বাণিজ্যের ঘাটতি দেখা দেয়।

১৮বৈদেশিক সাহায্যের উপর নির্ভরশীলতাঃ বাংলাদেশের মত সল্পোন্নত দেশগুলি প্রায় সময় বৈদেশিক দাতব্য সংস্থা এবং অর্থনৈতিক পরাশক্তিসমূহের কাছে যিম্মী থাকে।তারা বিভিন্ন ধরনের শর্তারোপের মাধ্যমে এ দেশে সাহায্য প্রদানের মাধ্যমে শোষণ করে থাকে। বাংলাদেশ মূলত ওয়ার্ল্ড ব্যাংক,আই.এম.এফযুক্তরাষ্ট্র,জাপান প্রভৃতি দেশসমূহের সাহায্যের উপর নির্ভরশীল।বাংলাদেশ উন্নয়ন খাতের ৪৫ ভাগ ঋণ থেকে খরচ করে।

১৯অনুন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থাঃ  বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা অনুন্নত এবং ত্রুটিপূর্ণ। বাংলাদেশে রেলপথ সীমিত।অন্যদিকে রাস্তা-ঘাটসমূহ কোন কোন বাহন চলার জন্য অচল হয়ে পড়ে।অন্যদিকে আমাদের জলপথ বিভিন্ন ধরনের সমস্যাজর্জরিত।আমাদের আকাশপথের যোগাযোগ ব্যবস্থা অত্যন্ত সীমিত।এ ধরনের অনুন্নত যোগযোগ ব্যবস্থায় অর্থনৈতিক উন্নয়ন সর্বদা ব্যহত হয়।

২০মুদ্রাস্ফীতিঃ স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করার পর থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে মুদ্রাস্ফীতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।বাজারে যেই পরিমাণ চাহিদা থাকার কথা ছিল সেই পরিমাণ যোগান না থাকার জন্য বাজারে অস্থিরভাবে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি হতে থাকে।

২১প্রাকৃতিক দুর্যোগঃ দেশে প্রতি বছর ক্ষরা,অতবৃষ্টি,অনাবৃষ্টি,বন্যা,সাইক্লোন ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ দ্বারা আক্রান্ত হয় যার ফলে এই দুর্যোগ নিপীড়ীত এলাকায় মানুষদের পুনর্বাসন,ত্রাণ সহায়তা প্রদান এবং অন্যান্য কাজের জন্য সরকারকে বছরে হাজার কোটি টাকা গুনতে হয় যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এক অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়।

 

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমস্যাবলী

কৃষির উপর নির্ভরশীলতা এবং অনুন্নত কৃষিব্যবস্থাঃ এটি বাংলাদেশের  অন্যতম অর্থনৈতিক সমস্যা যে এখানকার অর্থনীতি কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি।এ দেশের শতকরা ৮০ ভাগ লোক প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে কৃষিকাজের সাথে সম্পৃক্ত।দেশজ মোট উৎপাদনের সাথে কৃষির অবদান থাকে প্রায় ১/৪।২০০৯-২০১০ এর অর্থনৈতিক এক সমীক্ষায় দেখা যায় যেদেশজ উৎপাদনের শতকরা ২০.১৬ ভাগ কৃষি খাত থেকে আগত হয়।আমাদের দেশ কৃষিনির্ভর দেশ হলেও এই দেশে কৃষিকাজের জন্য এখনও সনাতন পদ্বতি অনুসরণ করা হয়।এখানে টাক্টর,পাম্পের পরিবর্তে এ দেশের কৃষকেরা এখনও গরু চড়িয়ে,লাংগল টেনেসাধারণ সার ব্যবহার করা কৃষিকাজ করে থাকে।যার ফলে কৃষি উৎপাদন বাড়ছে না।

স্বল্প মাথাপিছু আয়ঃ বাংলাদেশ যেহেতু একটি স্বল্প আয়ের দেশ তাই এখানকার মাথাপিছু আয় অত্যন্ত নিম্ন। ২০০৯-২০১০ এর এক সমীক্ষায় দেখা যায় যে,বাংলাদেশের বার্ষিক মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ৭৫০ মার্কিন ডলার।

বেকার সমস্যাঃ এটি বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম সমস্যা।দিন দিন বাংলাদেশে বেকার যুবক-যুবতীর পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ২ কোটির মত লোক বেকার হিসেবে জীবন-যাপন করছে। দেশের শ্রমশক্তি প্রায় ৩৩% লোক বেকার এবং ২৫% প্রচ্ছন্ন বেকার।এই বেকার সমস্যা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থাকে অনগ্রসরতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

শিল্পের অনগ্রসরতাঃ বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর উল্লেখযোগ্য তেমন কোন শিল্প,কল-কারখানা গড়ে উঠে নি। এর অন্যতম কারণ হল মূলধনের স্বল্পতাএবং দক্ষ শ্রমিকের অভাব। জিডিপি তে বাংলাদেশ শিল্প খাতের অবদান অতি নগণ্য।২০০৯-২০১০ অর্থবছরে জিডিপি তে বাংলাদেশে শিল্পের অবদান ছিল মাত্র ১৭.৮৭%।

মূলধনের স্বল্পতাঃ বাংলাদেশের এটি একটি অন্যতম অর্থনৈতিক সমস্যা মূল ধনের স্বল্পতা। কারন আমাদের দেশের অধিকাংশ লোক দারিদ্র্যতার নীচে বসবাস করে। ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে বাংলাদেশে মূলধনের সঞ্চয় মাত্র ১৯.৭৮%।কিন্তু একটি দেশের উন্নয়নের জন্য ২৫% মূলধনের সঞ্চয় হওয়া উচিৎ।দেশে অর্থনীতিতে মূলধনের অভাব হলে বিনিয়োগে স্বল্পতা পরিলক্ষিত হয়।

খাদ্য ঘাটতিঃ বাংলাদেশ কৃষিভিত্তিক দেশ হওয়া সত্ত্বেও এ দেশের মানুষের চাহিদা মত খাদ্য উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না।তাই বাংলাদেশে বহিঃবিশ্ব থেকে প্রচুর পরিমাণ খাদ্য বছরে আমদানী করতে হয়। এই খাদ্য আমদানীতে অধিকাংশ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হচ্ছে বলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যহত সৃষ্টি হচ্ছে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে বাংলাদেশ প্রায় ২০.৫৭ লক্ষ টন খাদ্য ঘাটতি  হয়।  

কারিগরী জ্ঞানের অভাবঃ  এটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমস্যার ভিতর অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হল দক্ষ কারিগরী জ্ঞানের অভাব।এ দেশের অধিকাংশ শ্রমিক জানে না যেকীভাবে আধুনিক কলা-কৌশলের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্বি করা সম্ভব।তাই আমাদের দেশে পর্যাপ্ত শ্রমিক থাকা সত্ত্বেও কারিগরী জ্ঞানের অভাবে দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন যথার্থভাবে হচ্ছে না।

দারিদ্র্যতার দুষ্টচক্রঃ অধ্যাপক নার্কসের দারিদ্র্যের দুষ্টুচক্র বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ১০০ ভাগ প্রযোজ্য।এই চক্রের মূল কথা হল স্বল্প আয়স্বল্প সঞ্চ্য,স্বল্প বিনিয়োগ এবং স্বল্প মূলধন। এই ধরনের অবস্থা বাংলাদেশের অর্থনীতি বিশেষভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে।

অন্নুনত অবকাঠামোঃ বাংলাদেশ অবকাঠামোগত দিক থেকে উন্নত নয়। এখানকার বিদ্যুৎ ব্যবস্থা,সেচ ব্যবস্থাপরিবহন ব্যবস্থা সকল কিছুই অনুন্নত।তাই এ সকল অবকাঠামোগত কারণে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা উন্নতি লাভ করতে পারছে না।

১০প্রাকৃতিক দুর্যোগঃ দেশে প্রতি বছর ক্ষরা,অতবৃষ্টি,অনাবৃষ্টি,বন্যা,সাইক্লোন ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ দ্বারা আক্রান্ত হয় যার ফলে এই দুর্যোগ নিপীড়ীত এলাকায় মানুষদের পুনর্বাসন,ত্রাণ সহায়তা প্রদান এবং অন্যান্য কাজের জন্য সরকারকে বছরে হাজার কোটি টাকা গুনতে হয় যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এক অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়।

১১প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠ্য ব্যবহার না হওয়াঃ বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণ প্রাকৃতিক সম্পদ(যেমনঃ খনিজ তেল,কয়লা,প্রাকৃতিক গ্যাস ইত্যাদি) থাকা সত্ত্বেও তার যথার্থ ব্যবহার না হওয়ার ফলে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার পশ্চাৎপদতার দিকে ধাবিত হচ্ছে।

১২নিম্ন জীবন-প্রণালীঃ আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ অত্যন্ত  নিম্নমানের জীবন-যাপন করছে।দেশের শতকরা ৪০ ভাগ মানুষ দারিদ্র্যতার নীচে বসবাস করছে।তারা খাদ্য,বস্ত্র,বাসস্থান,পোশাক ইত্যাদি মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

১৩বৈদেশিক বাণিজ্য ঘাটতিঃ  বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর যেই পরিমান দ্রব্য বিদেশে রপ্তানী হয় তার চেয়ে বেশি পণ্য আমদানী হয়। ২০১০ সালে বাংলাদেশ থেকে ১৬ বিলিয়ন $ রপ্তানী হয় এবং আমদানী হয় ২১ বিলিয়ন মূল্যের পণ্য। এখানে ব্যাপকভাবে বৈদেশিক বাণিজ্যের ঘাটতি দেখা দেয়।

১৪বৈদেশিক সাহায্যের উপর নির্ভরশীলতাঃ বাংলাদেশের মত সল্পোন্নত দেশগুলি প্রায় সময় বৈদেশিক দাতব্য সংস্থা এবং অর্থনৈতিক পরাশক্তিসমূহের কাছে যিম্মী থাকে।তারা বিভিন্ন ধরনের শর্তারোপের মাধ্যমে এ দেশে সাহায্য প্রদানের মাধ্যমে শোষণ করে থাকে। বাংলাদেশ মূলত ওয়ার্ল্ড ব্যাংক,আই.এম.এফযুক্তরাষ্ট্র,জাপান প্রভৃতি দেশসমূহের সাহায্যের উপর নির্ভরশীল।বাংলাদেশ উন্নয়ন খাতের ৪৫ ভাগ ঋণ থেকে খরচ করে।

১৫মুদ্রাস্ফীতিঃ স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করার পর থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে মুদ্রাস্ফীতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।বাজারে যেই পরিমাণ চাহিদা থাকার কথা ছিল সেই পরিমাণ যোগান না থাকার জন্য বাজারে অস্থিরভাবে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি হতে থাকে।

 

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক পশ্চাৎপদতার মূল কারণসমূহ

বাংলাদেশ একটি স্বল্প আয়ের দেশ। এ দেশে রয়েছে নানা রকমের অর্থনৈতিক সমস্যা।যার ফলে এদেশের মানুষেরা খাদ্য,বস্ত্র,বাসস্থান,শিক্ষা,চিকিৎসা ইত্যাদি মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।এ দেশের সরকার মানুষের অর্থনৈতিক চাহিদা মেটাতে যাথার্থ সক্ষম হচ্ছে না।বাংলাদেশে অর্থনৈতিক পশ্চাৎপদতার প্রধান প্রধান কারণসমূহ হল নিম্নরুপঃ

.সম্রাজ্যবাদী শক্তির দখলঃ বাংলাদেশ দীর্ঘ ২০০ বছর ব্রিটিশ সম্রাজ্যের অধীনে শাসিত হয়। এ সময় দেশে কোন রকনের শিল্প,কল কারখানা গড়ে উঠে নাই।এই ব্রিটিশ শাসকবর্গ দেশের কুটির শিল্পকে বিভিন্নভাবে ধংসব করার জন্য চেষ্টা করতে থাকে। তারা এ দেশ থেকে অসংখ্য সম্পদ লুট করে নিয়ে যায়। তারপর ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসনের অধীনতা থেকে মুক্তি লাভ করার পর ১৯৪৭-১৯৭১ পর্যন্ত দীর্ঘ ২৪ বছর পাকিস্তানী শাসকবর্গ এ দেশের সাধারণ লোকের উপর নিপীড়ন চালাতে থাকে এবং তাদেরকে অর্থনৈতিকভাবে শোষণ করতে থাকে।এভাবে করা প্রায় ২৫০ বছর বাংলাদেশ বিভিন্ন দখলদার শাসকবর্গের দ্বারা শাসিত হওয়ার দরুন তার অর্থনৈতিক ভিত্তি একেবারে ভেঙ্গে ফেলে।

.ব্যাপক দুর্নীতিঃ দেশে বর্তমানে প্রশাসন,আইন বিভাগ এবং বিচার বিভাগসহ সকল স্থানে দুর্নীতি শ্রয়লাবের মত ছড়িয়ে পড়ছে। যার ফলে দরিদ্র্যের দুষ্টুচক্রের আবির্ভাব হচ্ছে এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্থা হচ্ছে।

.দক্ষ সংগঠকের অভাবঃ অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য দক্ষ সংগঠকের প্রয়োজন হয়। কিন্তু আমাদের দেশে এমন কোন দক্ষ সংগঠক নেই যারা ব্যবসায় ঝুকি নিতে পারে। এজন্য বাংলাদেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থা অনুন্নত হচ্ছে।

শিল্পের অনগ্রসরতাঃ বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর উল্লেখযোগ্য তেমন কোন শিল্প,কল-কারখানা গড়ে উঠে নি। এর অন্যতম কারণ হল মূলধনের স্বল্পতাএবং দক্ষ শ্রমিকের অভাব। জিডিপি তে বাংলাদেশ শিল্প খাতের অবদান অতি নগণ্য।২০০৯-২০১০ অর্থবছরে জিডিপি তে বাংলাদেশে শিল্পের অবদান ছিল মাত্র ১৭.৮৭%।

মূলধনের স্বল্পতাঃ বাংলাদেশের এটি একটি অন্যতম অর্থনৈতিক সমস্যা মূল ধনের স্বল্পতা। কারন আমাদের দেশের অধিকাংশ লোক দারিদ্র্যতার নীচে বসবাস করে। ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে বাংলাদেশে মূলধনের সঞ্চয় মাত্র ১৯.৭৮%।কিন্তু একটি দেশের উন্নয়নের জন্য ২৫% মূলধনের সঞ্চয় হওয়া উচিৎ।দেশে অর্থনীতিতে মূলধনের অভাব হলে বিনিয়োগে স্বল্পতা পরিলক্ষিত হয়।

খাদ্য ঘাটতিঃ বাংলাদেশ কৃষিভিত্তিক দেশ হওয়া সত্ত্বেও এ দেশের মানুষের চাহিদা মত খাদ্য উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না।তাই বাংলাদেশে বহিঃবিশ্ব থেকে প্রচুর পরিমাণ খাদ্য বছরে আমদানী করতে হয়। এই খাদ্য আমদানীতে অধিকাংশ বৈদেশিক মুদ্রা ব্যয় হচ্ছে বলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে ব্যহত সৃষ্টি হচ্ছে। ২০০৯-১০ অর্থবছরে বাংলাদেশ প্রায় ২০.৫৭ লক্ষ টন খাদ্য ঘাটতি  হয়।  

কারিগরী জ্ঞানের অভাবঃ  এটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমস্যার ভিতর অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হল দক্ষ কারিগরী জ্ঞানের অভাব।এ দেশের অধিকাংশ শ্রমিক জানে না যেকীভাবে আধুনিক কলা-কৌশলের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্বি করা সম্ভব।তাই আমাদের দেশে পর্যাপ্ত শ্রমিক থাকা সত্ত্বেও কারিগরী জ্ঞানের অভাবে দেশে অর্থনৈতিক উন্নয়ন যথার্থভাবে হচ্ছে না।

দারিদ্র্যতার দুষ্টচক্রঃ অধ্যাপক নার্কসের দারিদ্র্যের দুষ্টুচক্র বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ১০০ ভাগ প্রযোজ্য।এই চক্রের মূল কথা হল স্বল্প আয়স্বল্প সঞ্চ্য,স্বল্প বিনিয়োগ এবং স্বল্প মূলধন। এই ধরনের অবস্থা বাংলাদেশের অর্থনীতি বিশেষভাবে পরিলক্ষিত হচ্ছে।

অন্নুনত অবকাঠামোঃ বাংলাদেশ অবকাঠামোগত দিক থেকে উন্নত নয়। এখানকার বিদ্যুৎ ব্যবস্থা,সেচ ব্যবস্থাপরিবহন ব্যবস্থা সকল কিছুই অনুন্নত।তাই এ সকল অবকাঠামোগত কারণে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা উন্নতি লাভ করতে পারছে না।

১০প্রাকৃতিক দুর্যোগঃ দেশে প্রতি বছর ক্ষরা,অতবৃষ্টি,অনাবৃষ্টি,বন্যা,সাইক্লোন ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ দ্বারা আক্রান্ত হয় যার ফলে এই দুর্যোগ নিপীড়ীত এলাকায় মানুষদের পুনর্বাসন,ত্রাণ সহায়তা প্রদান এবং অন্যান্য কাজের জন্য সরকারকে বছরে হাজার কোটি টাকা গুনতে হয় যা দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এক অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়।

১১প্রাকৃতিক সম্পদের সুষ্ঠ্য ব্যবহার না হওয়াঃ বাংলাদেশে প্রচুর পরিমাণ প্রাকৃতিক সম্পদ(যেমনঃ খনিজ তেল,কয়লা,প্রাকৃতিক গ্যাস ইত্যাদি) থাকা সত্ত্বেও তার যথার্থ ব্যবহার না হওয়ার ফলে দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার পশ্চাৎপদতার দিকে ধাবিত হচ্ছে।

১২নিম্ন জীবন-প্রণালীঃ আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ অত্যন্ত  নিম্নমানের জীবন-যাপন করছে।দেশের শতকরা ৪০ ভাগ মানুষ দারিদ্র্যতার নীচে বসবাস করছে।তারা খাদ্য,বস্ত্র,বাসস্থান,পোশাক ইত্যাদি মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

১৩বৈদেশিক বাণিজ্য ঘাটতিঃ  বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর যেই পরিমান দ্রব্য বিদেশে রপ্তানী হয় তার চেয়ে বেশি পণ্য আমদানী হয়। ২০১০ সালে বাংলাদেশ থেকে ১৬ বিলিয়ন $ রপ্তানী হয় এবং আমদানী হয় ২১ বিলিয়ন মূল্যের পণ্য। এখানে ব্যাপকভাবে বৈদেশিক বাণিজ্যের ঘাটতি দেখা দেয়।

১৪বৈদেশিক সাহায্যের উপর নির্ভরশীলতাঃ বাংলাদেশের মত সল্পোন্নত দেশগুলি প্রায় সময় বৈদেশিক দাতব্য সংস্থা এবং অর্থনৈতিক পরাশক্তিসমূহের কাছে যিম্মী থাকে।তারা বিভিন্ন ধরনের শর্তারোপের মাধ্যমে এ দেশে সাহায্য প্রদানের মাধ্যমে শোষণ করে থাকে। বাংলাদেশ মূলত ওয়ার্ল্ড ব্যাংক,আই.এম.এফযুক্তরাষ্ট্র,জাপান প্রভৃতি দেশসমূহের সাহায্যের উপর নির্ভরশীল।বাংলাদেশ উন্নয়ন খাতের ৪৫ ভাগ ঋণ থেকে খরচ করে।

১৫মুদ্রাস্ফীতিঃ স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করার পর থেকে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে মুদ্রাস্ফীতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে।বাজারে যেই পরিমাণ চাহিদা থাকার কথা ছিল সেই পরিমাণ যোগান না থাকার জন্য বাজারে অস্থিরভাবে দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি হতে থাকে। আর এই মুদ্রাস্ফীতি বাজারে ধস নামায়।

১৬কৃষির উপর নির্ভরশীলতা এবং অনুন্নত কৃষিব্যবস্থাঃ এটি বাংলাদেশের  অন্যতম অর্থনৈতিক সমস্যা যে এখানকার অর্থনীতি কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি।এ দেশের শতকরা ৮০ ভাগ লোক প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে কৃষিকাজের সাথে সম্পৃক্ত।দেশজ মোট উৎপাদনের সাথে কৃষির অবদান থাকে প্রায় ১/৪।২০০৯-২০১০ এর অর্থনৈতিক এক সমীক্ষায় দেখা যায় যেদেশজ উৎপাদনের শতকরা ২০.১৬ ভাগ কৃষি খাত থেকে আগত হয়।আমাদের দেশ কৃষিনির্ভর দেশ হলেও এই দেশে কৃষিকাজের জন্য এখনও সনাতন পদ্বতি অনুসরণ করা হয়।এখানে টাক্টর,পাম্পের পরিবর্তে এ দেশের কৃষকেরা এখনও গরু চড়িয়ে,লাংগল টেনেসাধারণ সার ব্যবহার করা কৃষিকাজ করে থাকে।যার ফলে কৃষি উৎপাদন বাড়ছে না।

১৭স্বল্প মাথাপিছু আয়ঃ বাংলাদেশ যেহেতু একটি স্বল্প আয়ের দেশ তাই এখানকার মাথাপিছু আয় অত্যন্ত নিম্ন। ২০০৯-২০১০ এর এক সমীক্ষায় দেখা যায় যে,বাংলাদেশের বার্ষিক মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ৭৫০ মার্কিন ডলার।
১৮বেকার সমস্যাঃ এটি বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম সমস্যা।দিন দিন বাংলাদেশে বেকার যুবক-যুবতীর পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ২ কোটির মত লোক বেকার হিসেবে জীবন-যাপন করছে। দেশের শ্রমশক্তি প্রায় ৩৩% লোক বেকার এবং ২৫% প্রচ্ছন্ন বেকার।এই বেকার সমস্যা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থাকে অনগ্রসরতার দিকে নিয়ে যাচ্ছে।

No comments:

Post a Comment

thank you