Wednesday, September 17, 2014

চাকরির প্রথম ৩০ দিনে যে চারটি কাজ অবশ্যই করবেন

চাকরির প্রথম ৩০ দিনে যে চারটি কাজ অবশ্যই করবেন

চাকরিতে যোগ দেওয়ার পর অফিসে কাজের শুরুটা যদি ভালো হয় তবে প্রতিষ্ঠানে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত হবে, ভবিষ্যৎ উন্নতিতেও এই শুরুটা কাজে আসবে। অন্যদিকে শুরুতেই যদি কোনো গণ্ডগোল পাকিয়ে ফেলেন তবে তা অফিসে আপনার ভাবমূর্তি ধসিয়ে দেবে। এ লেখায় চাকরি শুরুর প্রথম ৩০ দিনে চারটি করণীয় বিষয়ে উল্লেখ করা হয়েছে।
১. সম্পর্ক তৈরি
অফিসের নবাগত হিসেবে ম্যানেজার বা অন্য কেউ নিশ্চয়ই আপনাকে সবার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবেন। কিন্তু সেটা নাও ঘটতে পারে। আপনাকে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কথা তাঁরা বেখেয়ালে ভুলেও যেতে পারেন। তাই নতুন সহকর্মীদের সঙ্গে পরিচয়ের সব সুযোগ ব্যবহার করতে হবে আপনাকে। নেটওয়ার্কিংয়ের এ যুগে আপনি ঠিক করে জানেন না, কে আপনার উপকার করবে আর কে আগামী অবস্থানের জন্য সুপারিশ করবে।
এ ক্ষেত্রে পরামর্শ হলো, প্রতিটি রুমের সবার সঙ্গে পরিচিত হওয়া সম্ভব না হলেও কোথায় কে বসেন সে বিষয়ে ধারণা তৈরি করুন। অনেক মানুষের সঙ্গে পরিচিত হতে হলে প্রয়োজনে যথাসম্ভব নোট নিয়ে রাখুন। ভবিষ্যতে তা কাজে আসবে।
২. নিজের পদ ও কাজে আগ্রহ প্রকাশ
নিয়োগের পর পরই যদি কেউ নতুন বা উচ্চ পদের ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন, তাহলে তা খুবই বিব্রতকর হয়ে দাঁড়ায়। বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানই প্রত্যাশা করে, নিয়োগ দেওয়ার পর নতুন কর্মী সেই পদে কমপক্ষে তিন থেকে ছয় মাস কাজ করবেন। এর ব্যতিক্রম দেখা গেলে তা নতুন কর্মীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করে। প্রতিষ্ঠানের অন্য কোনো বিভাগ যদি আপনার পছন্দ হয়, তাহলে সে বিভাগে কর্মরতদের সঙ্গে কাজের বিষয়ে আলোচনা করুন। এতে তাঁদের বিভাগ ও প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আপনার আগ্রহ প্রকাশ পাবে, যা পরে কাজে আসতে পারে।
৩. জেনে নিন কখন প্রশ্ন করতে হবে
নতুন কর্মী হিসেবে আপনাকে অনেক বিষয়েই জানতে হবে। যেমন, কিভাবে টেলিফোন সিস্টেম কাজ করে। প্রতিষ্ঠানের অগ্রাধিকারের বিষয়গুলোও জানতে হবে। এ জন্য সঠিক প্রশ্নটি করতে পারাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ঠিক প্রশ্নটি করতে পারলে আপনি নিজেকে যেমন গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবেন, তেমনি ভুল প্রশ্ন আপনার অবস্থানকেও প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে। প্রশ্ন করার বিষয়ে প্রয়োজনে নোট নিয়ে রাখতে পারেন।
৪. ক্যাজুয়াল পেশাজীবী হতে শিখুন
কিছু অফিসের পরিবেশ খুবই কঠোর, কোথাও আবার কিছুটা শিথিল। যদিও সবখানেই এক ধরনের মানুষকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়, তাঁরা হচ্ছেন 'ক্যাজুয়াল' বা সহজাত পেশাজীবী। তাঁরা কখনোই পেশার মূল বিষয়গুলোর সঙ্গে আপস করেন না। সময়নিষ্ঠা ও কর্তব্যনিষ্ঠা তাঁদের সব কাজেই প্রকাশিত হয়। এসব সফল পেশাজীবী সাধারণত অন্যের তুলনায় কাজে বেশি সময় ব্যয় করেন। এর মানে এই নয় যে সব সময় তাঁরা তাঁদের কাজ নিয়েই আলাপ করেন।
এ জন্য নতুন কলিগদের আপনার সম্পর্কে জানার সুযোগ দিন। কাজের বাইরেও তাঁদের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলুন। যদিও বিষয়টিতে ভারসাম্য বজায় রাখা কঠিন। আপনি সঠিক অবস্থানে আছেন কিনা, তা চিন্তা করুন। প্রতিষ্ঠানের সব স্তরে সম্মানিত কোনো মানুষকে অনুসরণ করুন। কালের কণ্ঠ অনলাইন।

No comments:

Post a Comment

thank you