চাকরির জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে জীবন বৃত্তান্ত বা সিভি দেওয়ার পরও কোনো সাড়া আসেনি, এমনটা অনেকের বেলায়ই ঘটে। এমন হলে ধরে নেওয়া যায়, নিয়োগকর্তা কোনো কারণে আপনার সিভি বাদ দিয়েছেন। যেকোনো চাকরির বিজ্ঞাপন দেওয়ার পর নিয়োগকারীরা বহু সিভি পান। সেগুলো যাচাই-বাছাই করে পছন্দমতো কিছু সিভি ইন্টারভিউয়ের জন্য আলাদা করেন। আর এ কাজে প্রতিটি সিভি দেখার জন্য তাঁরা গড়ে মাত্র ছয় সেকেন্ড সময় ব্যয় করেন। আপনি হয়তো চাকরির জন্য উপযুক্ত ব্যক্তি ছিলেন। কিন্তু সিভিতে তা সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারেননি। কিংবা অতিরিক্ত নানা বিষয়ের উল্লেখে আপনার সিভির আসল জিনিসই তারা খুঁজে পাননি। তাই যে ১১টি বিষয় অতিরিক্ত বিষয় সিভি থেকে বাদ দেওয়াই ভালো-
১. অবজেক্টিভ (objective) : আপনি যেহেতু একটি চাকরির জন্য সিভি জমা দিয়েছেন, তাই ধরে নেওয়া যায়, সেই চাকরিতেই আপনি ক্যারিয়ার গড়তে চান। এ ক্ষেত্রে বিষয়টি নতুন করে উল্লেখ করার কোনো কারণ নেই। তবে পেশা পরিবর্তন করলে অবজেক্টিভ উল্লেখ করতে পারেন।
২. অপ্রয়োজনীয় অভিজ্ঞতা : ধরুন, একটি আইটি ফার্মে চাকরির আবেদন করছেন। সেখানে রেস্টুরেন্টে খণ্ডকালীন চাকরির অভিজ্ঞতা উল্লেখ করার প্রয়োজন নেই।
৩. ব্যক্তিগত বিষয়গুলো : আপনার প্রয়োজনীয় তথ্যগুলোই শুধু সিভিতে উল্লেখ করুন। ভোটার আইডি নম্বরের মতো বিষয়গুলো উল্লেখ করার কোনো প্রয়োজন নেই।
৪. আপনার শখ : আপনার কী কী শখ আছে, তা দেখে আপনাকে কেউ চাকরি দেবে না। এগুলো দেখার মতো সময় কোনো নিয়োগকর্তার নেই।
৫. আমি, আমরা : সিভিতে সব কিছুই আপনার বিষয়ে লেখা, এটা নিয়োগকর্তারা জানেন। তাই সিভিতে 'আমি', 'আমার', 'সে'- এসব কথা ব্যবহার করা উচিত নয়।
৬. অপেশাদারি ইমেইল অ্যাড্রেস : ইমেইল অ্যাড্রেসে অপেশাদারি ভাব বাদ দিন। BeerLover123@gmail.com বা CuteChick4life@yahoo.com, কিংবা naughty-boy@yahoo.com- এসব ইমেইল কেবল বন্ধুদের দেওয়া যায়।
৭. বর্তমান চাকরির যোগাযোগের ঠিকানা : আপনার বর্তমান অফিস থেকে দেওয়া ইমেইল ও ফোন নম্বর নতুন চাকরির জন্য সিভিতে উল্লেখ করবেন না। এমনটা করলে আপনার বর্তমান নিয়োগকর্তার নজরে পড়তে পারে। যাতে দুর্যোগ নেমে আসতে পারে।
৮. বেতনের তথ্য : সিভিতে আপনার বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ বেতন উল্লেখ করার কোনো প্রয়োজন নেই। ইন্টারভিউতে এসব আলাপ সেরে ফেলা ভালো।
৯. পুরনো ফন্ট : 'টাইমস নিউ রোমান'-এর মতো পুরনো ফন্ট বাদ দিয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন কোনো ফন্ট ব্যবহার করাই ভালো। মানসম্মত ফন্টের মধ্যে রয়েছে 'এরিয়াল'। এর লেখাগুলো যেন চোখে না লাগে, আবার ঠিকঠাক পড়াও যায়।
১০. অবাঞ্ছিত শব্দ : 'best of breed', 'go-getter', 'think outside the box', 'synergy' কিংবা 'people pleaser'- এসব শব্দ নিয়োগকর্তার কাছে বেমানান মনে হতে পারে। 'achieved', 'managed', 'resolved' কিংবা 'launched' শব্দগুলো নিয়োগকর্তার প্রিয়। এ ধরনের শব্দগুলো সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারলে তা নিঃসন্দেহে কাজে আসবে।
১১. স্কুলের রেজাল্ট : স্কুল থেকে বের হয়ে যাওয়ার কিছুদিন পর যে পরীক্ষা দিয়েছেন সেগুলোর রেজাল্ট খুব একটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আপনি যদি সবে স্কুল বা কলেজ পার হয়ে থাকেন তাহলে সেটা লিখতে পারেন। কিন্তু পাঁচ বছর পরেও এসব লেখার কোনো মানে হয় না।
No comments:
Post a Comment
thank you